ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় সংসদের আসন পূর্ণবিন্যাসের খবরে দ্বিতীয় দিনের মতো বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
প্রথম দিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের পরে দ্বিতীয় দিন পহেলা আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার আমতলী বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় জেলা বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জমির হোসেন দস্তগীর এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড্যাভোকেট ইমাম হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১০ টি ইউনিয়নকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত করে এলাকার উন্নতি ব্যহত করছে একটি দুষ্ট চক্র। এখন বিজয়নগর উপজেলা গঠনের পরে এই উপজেলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার নিল নকশা করছে। যাতে একটি উপজেলার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া যায়। এটা কখনো হতে দেওয়া যাবে না। যে কোন মূল্যে এই চক্রান্ত কে প্রতিহত করা হবে।
প্রতিবাদ সভা থেকে ঐক্যবদ্ধ বিজয়নগর উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করার ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত আগের সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িযা-৩ (সদর-বিজয়নগর) ফিরিয়ে আনার দাবী করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এর সাথে যুক্ত করার খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিজয়নগর উপজেলাবাসী। উক্ত ইউনিয়ন গুলো হলো, বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর ইউনিয়ন। ভৌগোলিক ভাবে ইউনিয়ন গুলো উপজেলা সদরের নিকটবর্তী এবং রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিন মুন্সি, বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, বুধন্তী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম, হরষপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান, সাবেক সভাপতি শাহ আলম মাস্টার, উপজেলা বিএনপির নেতা জিয়াউদ্দিন নয়ন, মোঃ রাস্টু সরকার, মোহাম্মদ আলী, চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী ইমরান, মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাঈদ খোকন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বোখারী মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক ইয়ার হোসেন খালেদ মোহাম্মদ রাসেল, মোঃ আরাফাত, আলী হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন, কাসেম কিবরিয়া, উপজেলা তাতী দলের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব হাজারি, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মিজানুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদির সহ উপজেলার সর্বস্তরের কয়েক শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নিকট কঠোর আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণার দাবী জানান।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানায় রদবদল এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ আগস্ট বুধবার এ খসড়া তালিকার গেজেট প্রকাশ করল ইসি। সীমানায় রদবদল এনে খসড়া এ তালিকার ওপর ১০ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ, দাবি ও আপত্তি জানানো যাবে। ওইসব দাবি-আপত্তি শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।